সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর ) প্রধান অর্জনসমূহ :
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী দপ্তরের যথাযথ উদ্যোগের ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারে খাদ্যশস্যের সরবরাহ এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। ক্রমাগতভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিগণিত। অত্র জেলার ৩ বছরের প্রধান অর্জনসমূহ-
গত ৩ অর্থ বছরে ৯৯২১০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫১৮ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ এবং কৃষকদের অধিক হারে প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে গত ৩ অর্থ বছরে ২৫৯৩৭ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে কৃষকের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ধান ও গমের মূল্য সরাসরি পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ। পল্লী অঞ্চলে হতদরিদ্র জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় ১৪৮৩২৭ জনকে বছরের ০৫ মাস কর্মাভাবকালীন সময়ে প্রতি কেজি চাল মাত্র ১৫ টাকা দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহ চলমান। অত্র জেলার রায়গঞ্জ, তাড়াশ, বেলকুচি, কাজিপুর, কামারখন্দ ও চৌহালী উপজেলায় খাদ্যবান্ধব এবং সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, তাড়াশ, বেলকুচি, কাজিপুর, কামারখন্দ ও চৌহালী উপজেলায় ভিডাব্লিউডি খাতে প্রায় ২৩৭২৪ মেঃটন পুষ্টিচাল বিতরণ করা হয়। জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৩৫০ জন ব্যবসায়ীর বিপরীতে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ইস্যু। অত্র জেলার সরকারি খাদ্য গুদামের কার্যকরী ধারণক্ষমতা ৩১৫০০ হাজার মেট্রিক টন। বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা, বাজারে খাদ্য প্রাপ্যতা সহজলভ্য করা এবং নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমন্বিত বিতরণ কর্মসূচিতে প্রায় ৩৫০০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS